Skip to main content

দয়ালের কোনও আওলাদ হয়না


তরিকতে শরীয়তে যারা আছেন তারা পীরজাদাদের পীরের মৃত্যুর আগেও এবং পরেও পীরের চেয়ে কম সম্মান করেনা। যুগে যুগে এটা করবেও। এটা কর্তব্য। তবে তারা ভাবে পীরের রক্ত তাঁর শরীরে বহে তার যোগ্যতা তো কম নয়। রক্ত,বীর্য শরীর রক্ষা করতে সাহায্য করে সন্তান আসার ভূমিকা রুহের কর্মের,সমস্ত কর্মরাশি জমা হয়ে একজোট হয়ে বীর্যে ধারণ করে সদগতি উৎপন্ন হয়। কর্ম ভাল হলেই পীরের ঘরে বা ভাল পরিবেশে আপনার রুহ নিক্ষেপিত হয়।
সূরা ইখলাস বলে -
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَد112.3ْ
আরবি উচ্চারণ
লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।
বাংলা অনুবাদ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং
তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
সম্যকগুরুর রুপকে আমরা যদি বিধাতার প্রতিচ্ছবি মনে করে ধ্যাণ সাধনা করে থাকি। তবে গুরুরুপী দয়ালের কোনও আওলাদ থাকেনা। দয়ালের কোনও আওলাদ হয়না, দয়ালের কেবল ভক্ত হয়। প্রভূর যেমন বান্দা হয় পুত্র নয়। গুরুর ব্যাক্তিগত পরিবারও গুরু-শিষ্যের অন্তর্গত হয়।
যারা ব্যাবসায়ী তারাই কেবল পীরজাদার পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন দরবার কেন্দ্রিক ব্যাবসা চালু রাখে।
প্রতিটি মানুষের কর্ম তাকে বড় করে তোলে। বংশ পরিচয় নয়।

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...