আপনার কাছে যদি কোনও সাধনালব্ধ ক্ষমতা থাকে,আর যদি সে ক্ষমতা বলে কারও কোনও ক্ষতি করেন ; তবে জেনে রাখবেন সে ক্ষতি চারগুণ হয়ে আপনার কাছেই ফিরে আসতে বাধ্য।
প্রতিটি মানুষেরর ভেতর তার নিজ জীবনের ক্রিয়েটর উপস্থিত। তাই তার জীবন তাকেই গড়তে দিন। সেখানে আপনার উপস্থিতি শোভা পায়না।
প্রতিটি মানুষেরর ভেতর তার নিজ জীবনের ক্রিয়েটর উপস্থিত। তাই তার জীবন তাকেই গড়তে দিন। সেখানে আপনার উপস্থিতি শোভা পায়না।
গত পর্বে দস্যুদের পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছি। এ পর্বে গুরুবাদের মুখোশের আড়ালে অর্থলোভী গুরুদের একটি ক্ষমতা সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ধ্যান সাধনার পথে একটা সময় যখন মোটামুটি একটা পর্যায়ে যায় কিছু মানুষ নিজেকে বিকিয়ে দেয় এমন কয়েকটা ক্ষেত্রই আছে। যেমন :
১) অর্থের কাছে বিকানো।
২) যৌণতায় অষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়া।
৩) ক্ষমতার অপব্যাবহার
৪)নিজের ভেতর ষড়রিপুর ইগো তৈরি হওয়া। ইত্যাদি।
১) অর্থের কাছে বিকানো।
২) যৌণতায় অষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়া।
৩) ক্ষমতার অপব্যাবহার
৪)নিজের ভেতর ষড়রিপুর ইগো তৈরি হওয়া। ইত্যাদি।
এর মধ্যে অর্থ সকল অনর্থের মূল যেমন বলা হয় তেমনই হয় কিছু গুরু/পীরদের দ্বারা। সে কারনে যতটুকু ক্ষমতা অর্জন করেছে তার অপব্যাবহার করা শুরু করে। প্রত্যেক পীরই তার স্বীয় গুরুর কাছ থেকে বীজমন্ত্র বা আধ্যাত্মিক একটা ক্ষমতা পেয়ে থাকে যার দ্বারা পীরগিরি করে বা মানুষের উপকার করে থাকে। সে ক্ষমতার মধ্যে সম্মোহনী ক্ষমতাটা মারাত্মক একটা ক্ষমতা। কিছু গুরু সে ক্ষমতার ভাল ব্যাবহার করে; বেশীরভাগ করে অপব্যাবহার।
যেমন কিছু গুরু তার শিষ্যদের মঙ্গল না করে কুফরীর মাধ্যমে শিষ্যের ভালটাকে আটকে রাখে। মন্দটাকে শিষ্যের মধ্যে নিক্ষেপ করে যার কারনে শিষ্যের বিপদ ছাড়েনা,অসুস্থতা দূর হয়না।এগুলো করার কারন হলো আপনি বার বার তার কাছে যাবেন এবং যতবার যাবেন ততবারই হাতে কিছু ধরিয়ে দিয়ে আসবেন এটাই তার লাভ।
একবার এক ভক্ত তার গুরুকে ফোন দিল বলল, বাবা আমার মেয়ের পা টা কেটে গেছে তিনটা সেলাই পড়ছে। তৎক্ষণাৎ সেখানে তার ভক্তদের সামনে বলতেছে, সবেতো পা কাটছে আরও কতকিছু হবে। সবেতো শুরু।
আরেক ভক্ত বলে, বাবা আমার মেয়ের পরীক্ষা তার জন্য একটু দোয়া করুন। তখন বলে মেয়েতো পাশ করবেনা দেখো কি হয়।
যেমন কিছু গুরু তার শিষ্যদের মঙ্গল না করে কুফরীর মাধ্যমে শিষ্যের ভালটাকে আটকে রাখে। মন্দটাকে শিষ্যের মধ্যে নিক্ষেপ করে যার কারনে শিষ্যের বিপদ ছাড়েনা,অসুস্থতা দূর হয়না।এগুলো করার কারন হলো আপনি বার বার তার কাছে যাবেন এবং যতবার যাবেন ততবারই হাতে কিছু ধরিয়ে দিয়ে আসবেন এটাই তার লাভ।
একবার এক ভক্ত তার গুরুকে ফোন দিল বলল, বাবা আমার মেয়ের পা টা কেটে গেছে তিনটা সেলাই পড়ছে। তৎক্ষণাৎ সেখানে তার ভক্তদের সামনে বলতেছে, সবেতো পা কাটছে আরও কতকিছু হবে। সবেতো শুরু।
আরেক ভক্ত বলে, বাবা আমার মেয়ের পরীক্ষা তার জন্য একটু দোয়া করুন। তখন বলে মেয়েতো পাশ করবেনা দেখো কি হয়।
দেখুন একজন পিতামাতার কাছে তার সন্তান কত দামী অথচ তারই কাছে বলছে পাশ করবেনা। পা কাটছে আরও কতকিছু হবে। ধরুন পিতামাতা ভালনা কিন্তু সে বাচ্চাগুলো কি অন্যায় করেছে? এগুলো তাঁরই সৃষ্ট বিপদ আপদ একটার পর একটা সাজানো। কারন কুফুরী বিদ্যায় সে পারদর্শী আর লোভে সে অন্ধ।
এমন অসংখ্য গুরু পীর বর্তমানে উপস্থিত। গুরুতো সে যার পকেটে পয়সা না থাকলে গাড়ীভাড়াটা দিয়ে দেবে।এমনও গুরু আছে টাকার স্তূপের উপর বসে থাকে কিন্তু তার দৃষ্টি সে দিকে পড়েনা। এর বিপরীতে এমনও আছে মাসিক চাঁদাও দিতে হয় প্রতিমাসে।
তাই গুরু নির্বাচনে সতর্ক থাকবেন সবাই। হুট করেই সিদ্ধান্ত নিবেন না। এরা গুরু নয় এরা দস্যু। তরিকতের দস্যু এরা।
যখন এ রকম দেখবেন যে, এতো বছর থাকার পরও তার সাথে কিছু পাচ্ছেন না। সাথে সাথেই তাদের ত্যাগ করুন।তার এমন কথায় ভয় পাবেন না যে, আমার দরবার ছেড়ে কোথায় গিয়ে শান্তি পাও দেখব।
এদের জন্য আমল হল মোরাকাবায় অতিন্দ্রীয় রাজ্যে চার কূল পড়া।
যখন এ রকম দেখবেন যে, এতো বছর থাকার পরও তার সাথে কিছু পাচ্ছেন না। সাথে সাথেই তাদের ত্যাগ করুন।তার এমন কথায় ভয় পাবেন না যে, আমার দরবার ছেড়ে কোথায় গিয়ে শান্তি পাও দেখব।
এদের জন্য আমল হল মোরাকাবায় অতিন্দ্রীয় রাজ্যে চার কূল পড়া।
Comments
Post a Comment