Skip to main content

পাগল ছাড়া দুনিয়া চলেনা


মূসা (অা:) এর সময়কার ঘটনা, দেশে দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বৃষ্টির অভাবে। সবাই মূসা আ: এর কাছে গেলেন, বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুঅা করতে বললেন। মূসা নবী যখন ফরিয়াদ করলেন বৃষ্টির জন্য প্রভূ বললেন "হে মূসা শহরে চলে যাও এবং বারাখ নামের পাগলের সন্ধান কর, সে যদি বৃষ্টির জন্য দোয়া করে তবে বৃষ্টি হবে "।মূসা নবী বহু খোজাঁর পর বারাখ পাগল কে পেলেন এবং বললেন, আপনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করুন।
বারাখ বলিলেন আপনি থাকিতে আমি এই ধৃষ্টতা করতে পারিনা।
মূসা নবী বললেন আল্লাহপাক বলেছেন আপনি প্রার্থণা করলে বৃষ্টি দিবে।
বারাখ পাগল উঠে দাঁড়াল এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, কার কাছ থেকে তুমি এই কৃপণতা শিখিলে?
এই কথা বলার সাথে সাথে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়া শুরু করল।
★এই কথাটা জ্ঞানবান কখনও বলতে পারবেনা যেভাবে বারাখ পাগল বলল। তাই পাগলের কথাবার্তা সকল কাজই ঔদ্ধত্যই বৈধ। প্রভূর সাথে পূর্ণ এখতিয়ার থাকে পাগলদের।এ রা আধ্যাত্মিকতার এমন পর্যায়ে উঠে কথা বলেন যা সবর পালন করা সম্ভব হয়না। তাইতো গাজ্জালী (রহ:) বলেন--
পাগলের কথায় জ্ঞানবানদের পক্ষে আমল করা ঠিক নয়।

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...