Skip to main content

আগমনের চিরন্তন সত্য :- এবং রামকৃষ্ণ কে নবী ভাবা

মানব জাতির শুরু থেকে আজ অবধি একটি সত্য আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, আমাদের দয়াল নবীর আগমন এর বাণী যুগ যুগ ধরে সকল ধর্মের নবী রাসূল গণ বলে গিয়েছেন আজ এর কিছুটা অবতারণা করব।
মূসা নবী তার তওরাতের মধ্যে থাকা ৭০ বার আহমদ নামের জিকির করেছেন।
★ধর্মীয় বিদ্বেষ আজ সে সত্য ধামাচাপা দেয়া।
মূসানবীর এক খাস সাহাবী ছিল তাওরাতের হাফেজ। উনি প্রায়ই মূসা নবীর খানকায় ঘুমাতেন। একদিন তিনি দেখলেন মূসা (আ:) বাসায় নেই। তখন তওরাতের মধ্যে থাকা আমার দয়াল নবীর ৭০ বার থাকা আহমদ নাম কলম দিয়ে কেটে দেয়ার চেষ্টা করলেন। মহান আল্লাহপাক তার বেয়াদবির শাস্তি স্বরুপ তাকে গুইসাপ বানিয়ে দিলেন। মূসা আ: এসে অনেক খুঁজে যখন পেলেন তখন দেখলেন তিনি গুইসাপ হয়ে গিয়েছেন। মূসা নবী কেঁদেও তাকে ক্ষমা করাতে পারলেন না। কারন হাক্কুল এবাদ আল্লাহ ক্ষমা করেন না। এটা বান্দার হক। মূসা প্রভূর পক্ষ থেকে পাওয়া মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন তোমার ক্ষমা মুহম্মদ (দ:) কাছেই পাবে।
আর সেদিকে যাবনা আজ আগমনের বার্তার কথাই বলি।
যীশু বলেছেন আমার দয়াল নবীর আগমন বার্তা সম্পর্কে -"আমি যদি না যাই সেই পবিত্র আত্মা আসবে না, যদি যাই তাহলে সে পবিত্র আত্মা আসবে " মুয়াজ্জি বলে সেখানে সম্বোধন করা হয়েছে ইঞ্জিলে।
এবার আসি মহামতি গৌতম বুদ্ধের কথায় : গসপেল দ্যা কারাস কিতাবের মাধ্যমে জানা যায় তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পূর্বে বলেন"আমি প্রথম বুদ্ধ নই যে আমি এসেছি প্রথম হয়ে এবং শেষ বুদ্ধ নই। আরেকজন আসবেন যিনি সর্বোত্তম। তার নাম হবে সাংস্কৃতিক ভাষায় মিত্রইয়া। অর্থাৎ শান্তি এবং করুণার প্রতীক। " আমার আপনার দয়াল নবী সেই শান্তি,দয়া, করুণার মূর্ত প্রতীক।
এবার আসি সনাতন ধর্মের মূল বেদ গুলির অন্যতম Rigbed এ
কলিযুগে (এখন থেকে ৩০০০ বছর আগে আর ২০০০ বছর পরের কালকে সনাতন ধর্মে কলিযুগ বলা হয়ে থাকে) একজন জগৎগুরু আসবেন যার নাম হবে নরাসংস বাংলায় চরম প্রশংসিত জন আরবিতে মুহম্মদ। পিতার নাম হবে বিষ্ণুজশ যার অর্থ ঈশ্বরের উপাসক আরবিতে আব্দুল্লাহ। আমার আপনার দয়াল নবীর পিতার নাম আব্দুল্লাহ। সে জগৎগুরুর মাতার নাম হবে সুমতি অর্থ শান্ত স্বভাব যুক্তা আরবীতে আমেনা। শুধু তাই নয়। এ জগৎগুরু ধ্যাণমগ্ন অবস্থায় পরশুরাম কর্তৃক ঐশি বার্তা গ্রহণ করবেন। আমরা যাকে জীব্রাইল ফেরেশতা বলি।
বিভিন্ন ধর্মে আমার দয়াল নবীর আগমনের কথা উল্লেখ আছে। এবং বিদ্বেষের কারনে যারাই সকল কিতাব হতে সে সত্য মুছে দেয়ার চেষ্টা করবে ওদের হাশর হবে জন্মান্তরবাদে গুইসাপ।
শুধু তাই নয় সে মহাসত্য গুলো যারা মুছে দেয়ার চেষ্টা করবে যেমন রাম কৃষ্ণ কে অবতার হিসেবে না মানবে ওদের একই হাল হবে। এ বিষয়ে হালকা আলোকপাত করব। যদিও আমি কাদিয়ানী, দেওবন্দী বা কোনও গোত্রভুক্ত লোক নই তবুও সহীহ্ সহ বাতিলদেরও রেফারেন্সই দিচ্ছি।
কাদিয়ানী তার চশমায়ে মারেফত কিতাবে বলেন " একদিন দয়াল নবী কে সাহাবীরা প্রশ্ন করে বলেন " হে আল্লাহর নবী আরবের বাইরেও কি আল্লাহতায়ালা নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন? তখন দয়াল নবী বলেন "হা অবশ্যই পাঠিয়েছেন। ভারতবর্ষেও একজন পাঠিয়েছেন যার বর্ণ ছিল কালো বর্ণ নাম ছিল কানাই বা কৃষ্ণ। বহু যায়গায় তিনি রাম কৃষ্ণ কে নবী বলেছেন। এর স্বপক্ষে সূরা রাদ এর ৮ নং আয়াতকেই সবাই প্রাধাণ্য দিয়েছেন। যেখানে আল্লাহপাক বলেন "আমি প্রত্যেক জাতি বা কওমের মধ্যে নবী রাসূল পাঠিয়েছি।" হাদীসপাকেও বলা আছে ১ লক্ষ বা দুই লক্ষ ২৪০০০ পয়গম্বর পাঠিয়েছেন। এই হাদীসকেও স্বপক্ষে সবাই ধরে থাকেন।
মুজাদ্দেদে আলফেসানী রহ: তার লেখা কাশফ হাদিকায় মাহমুদিয়াতে বলেন তিনি ভারতে বহু সংখ্যক নবী রাসূল এর কবর দেখেছেন।
দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানতুবি ও
একই কথা বলেন। খাজা ফরিদ ও বলেছিলেন ওনারা ওলীও নন নবী ও রাসূল ছিলেন। ফতোয়ায়ে আজিজীতে ২৯৪ পৃষ্ঠায় রাম এবং শ্রী কৃষ্ণ নবী বলে উল্লেখ করেছেন। তফসীরে মাজহারীতেও উল্লেখ আছে এ বিষয়টি যেটাকে আমি ব্যাপক মানি যা লিখেছেন ছানাউল্লাহ পানিপথি রহ:।
আপনি মানেন বা না মানেন এটা আপনার বিষয়। কিন্তু মুছে দেয়ার চেষ্টা করব না আমরা। মনে রাখবেন দয়াল নবী মাথার পাগড়ী খুলে ইহুদীদের বসতে দিয়েছেন খেতে দিয়েছেন।
★ লেখাটা তাদের জন্য যারা মানেন। বিতর্ক এড়িয়ে চলবেন প্লীজ।
27/12/17

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...