Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2018

পাগল ছাড়া দুনিয়া চলেনা

মূসা (অা:) এর সময়কার ঘটনা, দেশে দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বৃষ্টির অভাবে। সবাই মূসা আ: এর কাছে গেলেন, বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুঅা করতে বললেন। মূসা নবী যখন ফরিয়াদ করলেন বৃষ্টির জন্য প্রভূ বললেন "হে মূসা শহরে চলে যাও এবং বারাখ নামের পাগলের সন্ধান কর, সে যদি বৃষ্টির জন্য দোয়া করে তবে বৃষ্টি হবে "।মূসা নবী বহু খোজাঁর পর বারাখ পাগল কে পেলেন এবং বললেন, আপনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করুন। বারাখ বলিলেন আপনি থাকিতে আমি এই ধৃষ্টতা করতে পারিনা। মূসা নবী বললেন আল্লাহপা ক বলেছেন আপনি প্রার্থণা করলে বৃষ্টি দিবে। বারাখ পাগল উঠে দাঁড়াল এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, কার কাছ থেকে তুমি এই কৃপণতা শিখিলে? এই কথা বলার সাথে সাথে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়া শুরু করল। ★এই কথাটা জ্ঞানবান কখনও বলতে পারবেনা যেভাবে বারাখ পাগল বলল। তাই পাগলের কথাবার্তা সকল কাজই ঔদ্ধত্যই বৈধ। প্রভূর সাথে পূর্ণ এখতিয়ার থাকে পাগলদের।এ রা আধ্যাত্মিকতার এমন পর্যায়ে উঠে কথা বলেন যা সবর পালন করা সম্ভব হয়না। তাইতো গাজ্জালী (রহ:) বলেন-- পাগলের কথায় জ্ঞানবানদের পক্ষে আমল করা ঠিক নয়।

আগমনের চিরন্তন সত্য :- এবং রামকৃষ্ণ কে নবী ভাবা

মানব জাতির শুরু থেকে আজ অবধি একটি সত্য আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, আমাদের দয়াল নবীর আগমন এর বাণী যুগ যুগ ধরে সকল ধর্মের নবী রাসূল গণ বলে গিয়েছেন আজ এর কিছুটা অবতারণা করব। মূসা নবী তার তওরাতের মধ্যে থাকা ৭০ বার আহমদ নামের জিকির করেছেন। ★ধর্মীয় বিদ্বেষ আজ সে সত্য ধামাচাপা দেয়া। মূসানবীর এক খাস সাহাবী ছিল তাওরাতের হাফেজ। উনি প্রায়ই মূসা নবীর খানকায় ঘুমাতেন। একদিন তিনি দেখলেন মূসা (আ:) বাসায় নেই। তখন তওরাতের মধ্যে থাকা আমার দয়াল নবীর ৭০ বার থাকা আহমদ নাম কলম দিয়ে কেটে দেয়ার চেষ্টা করলেন। মহান আল্লাহপাক তার বেয়াদবির শাস্তি স্বরুপ তাকে গুইসাপ বানিয়ে দিলেন। মূসা আ: এসে অনেক খুঁজে যখন পেলেন তখন দেখলেন তিনি গুইসাপ হয়ে গিয়েছেন। মূসা নবী কেঁদেও তাকে ক্ষমা করাতে পারলেন না। কারন হাক্কুল এবাদ আল্লাহ ক্ষমা করেন না। এটা বান্দার হক। মূসা প্রভূর পক্ষ থেকে পাওয়া মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন তোমার ক্ষমা মুহম্মদ (দ:) কাছেই পাবে। আর সেদিকে যাবনা আজ আগমনের বার্তার কথাই বলি। যীশু বলেছেন আমার দয়াল নবীর আগমন বার্তা সম্পর্কে -"আমি যদি না যাই সেই পবিত্র আত্মা আসবে না, যদি যাই তাহলে সে পবিত্র আত্মা আসবে "...

দয়ালের কোনও আওলাদ হয়না

তরিকতে শরীয়তে যারা আছেন তারা পীরজাদাদের পীরের মৃত্যুর আগেও এবং পরেও পীরের চেয়ে কম সম্মান করেনা। যুগে যুগে এটা করবেও। এটা কর্তব্য। তবে তারা ভাবে পীরের রক্ত তাঁর শরীরে বহে তার যোগ্যতা তো কম নয়। রক্ত,বীর্য শরীর রক্ষা করতে সাহায্য করে সন্তান আসার ভূমিকা রুহের কর্মের,সমস্ত কর্মরাশি জমা হয়ে একজোট হয়ে বীর্যে ধারণ করে সদগতি উৎপন্ন হয়। কর্ম ভাল হলেই পীরের ঘরে বা ভাল পরিবেশে আপনার রুহ নিক্ষেপিত হয়। সূরা ইখলাস বলে - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَد112.3ْ আরবি উচ্চারণ লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্। বাংলা অনুবাদ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। সম্যকগুরুর রুপকে আমরা যদি বিধাতার প্রতিচ্ছবি মনে করে ধ্যাণ সাধনা করে থাকি। তবে গুরুরুপী দয়ালের কোনও আওলাদ থাকেনা। দয়ালের কোনও আওলাদ হয়না, দয়ালের কেবল ভক্ত হয়। প্রভূর যেমন বান্দা হয় পুত্র নয়। গুরুর ব্যাক্তিগত পরিবারও গুরু-শিষ্যের অন্তর্গত হয়। যারা ব্যাবসায়ী তারাই কেবল পীরজাদার পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন দরবার কেন্দ্রিক ব্যাবসা চালু রাখে। প্রতিটি মানুষের কর্ম তাকে বড় করে তোলে। বংশ পরিচয় নয়।

প্রেম ও সন্তুষ্টি

দয়াল নবী পাক (দরুদ) বলেছেন যে, মহব্বত এমন এক স্তর যেখানে শুধু ঐ সমস্ত প্রেমিকরাই পা ফেলতে পারে যারা বন্ধুর প্রেম ব্যাতীত আর কিছুই দেখতে পারেনা। সাথে অন্যান্য সবকিছুই থেকে তিনি সড়ে আসেন। একবার বায়েজীদ বোস্তামী (রহ:) একাকী প্রেম জগতে বন্ধুর দরবারে বসে ছিলেন। তখন প্রভূ জিজ্ঞেস করলেন, বায়েজীদ বন্ধু বন্ধুর সাথে দেখা করতে আসলে কতকিছু উপঢৌকন নিয়ে আসে। তুমি আমার জন্য কি নিয়ে আসছো? প্রিয় বায়েজীদ উত্তর দিলেন, প্রেম এবং তোমার সন্তুষ্টি। আল্লাহপাক বললেন, তুমি উপযুক্ত উপহারই এনেছো।

যজ্ঞ/সাধনা

আলাদা আলাদা লোকজন যজ্ঞকে আলাদা আলাদা ভাবে বুঝে থাকেন। কিছু লোকের জন্য যজ্ঞ হল প্রভূর স্বরুপ, উনাদের কাছে সবকিছুতেই স্বয়ং ব্রহ্ম। কেউ কেউ দেবতাদের খুশী করার জন্য যজ্ঞ করে থাকেন। উনাদের কাছে পূজা অর্চনাই যজ্ঞ। কিছু কিছু সাধক আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনের সাধনাকে যজ্ঞ বলে থাকেন। কেউ ধন বিসর্জন দিয়ে কেউ কর্ম কে। বাস্তবে যজ্ঞ চার প্রকার :- ১) দ্রব্যযজ্ঞ :- এটা হল অর্জিত ধন লোক সেবায় বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছেন ধর্মীয় চিন্তায়। ২) তপ যজ্ঞ :- যখন কেউ কর্ম করছেন এবং সেটাকে তপস্যা বানিয়ে ফেলেছেন এটাই হল তপযজ্ঞ। ৩) যোগ সাধনা যজ্ঞ :- এটা অস্টাঙ্গি সাধনা করে বিভিন্ন যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে করে থাকে। ৪) জ্ঞান যজ্ঞ :- যদিও চারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যজ্ঞ তবুও জ্ঞানই হচ্ছে সর্বোত্তম যজ্ঞ। কেননা জ্ঞানই আমাদের ভাল মন্দ বিচার করতে শেখায়। জ্ঞানই কর্মকে আগুনে পুড়িয়ে এর উৎকর্ষ করে থাকে। জ্ঞানই আমাদের মোহ বন্ধন থেকে মুক্ত করে। পাপের সাগরকে জ্ঞানের নৌকাই পার করতে পারে। জ্ঞানের অাগুন কর্ম ফলের ইচ্ছা ফল প্রাপ্তি না হওয়ায় সৃষ্ট ক্রোধ ও কামনাকে জ্বালিয়ে শুদ্ধ করে। আপন জ্ঞানের প্রকাশ জ্ঞানী করেনা তাহলে অজ্ঞানত...

তরিকতের দস্যু -২

আপনার কাছে যদি কোনও সাধনালব্ধ ক্ষমতা থাকে,আর যদি সে ক্ষমতা বলে কারও কোনও ক্ষতি করেন ; তবে জেনে রাখবেন সে ক্ষতি চারগুণ হয়ে আপনার কাছেই ফিরে আসতে বাধ্য। প্রতিটি মানুষেরর ভেতর তার নিজ জীবনের ক্রিয়েটর উপস্থিত। তাই তার জীবন তাকেই গড়তে দিন। সেখানে আপনার উপস্থিতি শোভা পায়না। গত পর্বে দস্যুদের পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছি। এ পর্বে গুরুবাদের মুখোশের আড়ালে অর্থলোভী গুরুদের একটি ক্ষমতা সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। ধ্যান সাধনার পথে একটা সময় যখন মোটামুটি একটা পর্যায়ে যায় কিছু মানুষ নিজেকে বিকিয়ে দেয় এমন কয়েকটা ক্ষেত্রই আছে। যেমন : ১) অর্থের কাছে বিকানো। ২) যৌণতায় অষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়া। ৩) ক্ষমতার অপব্যাবহার ৪)নিজের ভেতর ষড়রিপুর ইগো তৈরি হওয়া। ইত্যাদি। এর মধ্যে অর্থ সকল অনর্থের মূল যেমন বলা হয় তেমনই হয় কিছু গুরু/পীরদের দ্বারা। সে কারনে যতটুকু ক্ষমতা অর্জন করেছে তার অপব্যাবহার করা শুরু করে। প্রত্যেক পীরই তার স্বীয় গুরুর কাছ থেকে বীজমন্ত্র বা আধ্যাত্মিক একটা ক্ষমতা পেয়ে থাকে যার দ্বারা পীরগিরি করে বা মানুষের উপকার করে থাকে। সে ক্ষমতার মধ্যে সম্মোহনী ক্ষমতাটা মারাত্মক একটা ক্ষমতা। কিছু গুরু স...

দমের বার্তা (পর্ব :১)

একটি স্বর বিজ্ঞান।  --------------------------- আজ আমার আলোচনামূলক পোষ্ট স্বর বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা করব। এ বিজ্ঞান এর জ্ঞান কে পুঁজি কর কত ব্যাবসা চলছে আমাদের উপমহাদেশে, নতুন করে কি বলব। যাই হোক এ জ্ঞানটা মূলত সনাতন ধর্ম থেকে সাধু মহৎদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এ বিজ্ঞানের প্রয়োগ সর্বপ্রথম মহামতি শিব পার্বতীকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। শিব মাতা পার্বতীকে বলেছিলেন " হে পার্বতী! যে এই স্বর জ্ঞান পুরোপুরিভাবে জানলে এবং এর সঠিক প্রয়োগ করল, গ্রহ নক্ষত্রও তার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। " আজ আমরা সেই বিষয়ে কিঞ্চিত আলাপ করব যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগতে পারে। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম খবর পেতে পারেন। তাছাড়াও বহু উপকার রয়েছে। মূলত যে বিপদ, ক্রোধ, অসুস্থতা আপনাকে অস্থির করে তোলে। তা আসার আগেই জানা এবং তা থেকে রিমুভ করাই মূল লক্ষ্য। আমাদের দেহে বহু নার্ভ বা নাড়ী বিদ্যমান এর মধ্যে প্রধান তিন নাড়ী ইড়া, পিঙ্গলা আর সুষমা। বুঝিয়ে দিচ্ছি- ইড়া :-সাধু মহৎরা যাকে চন্দ্রস্বর বলে ডাকে যা আমাদের বাঁ নাকের ছিদ্রের নি:শ্বাস কে বলা হয়। Left Nostril Breath. মানসিক কর্ম সংগঠন করে। পিঙ্গলা :-আমাদের নাকের...

অনাহাদ ধ্বণি

The Sound Of Silence এটা এমন এক বিস্ময়কর ধ্বণি যা স্বয়ং প্রভূর পক্ষ থেকে হয়। কথিত আছে যে, সৃষ্টিকর্তা যখন রুহকে সৃষ্টি করলেন এবং আলমে আরওয়াহ তে প্রশ্ন করার জন্য মনস্থ করলেন তখন রুহ গুলি অতি চাঞ্চল্যতায় এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করল। তখন তাদের একীভূত করার জন্য একটি ধ্বণির ব্যাবস্থা করলেন এবং সে ধ্বণিতে মুগ্ধ হয়ে রুহগুলি স্থীর হওয়া শুরু করল। এই ধ্বণিকেই অনাহাদ ধ্বণি বলা হয়ে থাকে। কেউ কেউ বলেন সাধকগণ সাধনার একটা স্তরে এই ধ্বণিই শুনতে পান। .কেউ এ ধ্বণি কে শ্ রী কৃষ্ণের বাঁশী বলে থাকেন। সনাতন ধর্মে এটাকে "ওঁম "এর বেজে যাওয়া শব্দ মনে করেন। মুসলিমরা "হু " এর ধ্বণি।সবার মাঝেই এ ধ্বণি বাজে, কিন্তু আমরা ধরতে পারিনা।  চলুন একটু বিশ্লেষণে যাই। কোন কিছুই সংস্পর্শ ছাড়া বাজেনা, হাতের সাথে হাত রেখে তালি হয়, ঘন্টা বাজাতেও দুটো জিনিসের প্রয়োজন হয়। শব্দ হলো এক ধরনের তরঙ্গ যা পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয়।এটাকে বলে আহাদ।আর যা কোনরুপ পদার্থের কম্পন ছাড়া সৃষ্টি হয় তাকে বলে অনাহাদ। বেশীরভাগ শব্দই আমরা বাইরে থেকে পেয়ে থাকি কিন্তু অনাহাদ ধ্বণি শুধুমাত্র আমাদের ভেতর থেকেই আসে।...