এক পাগল প্রেমিক রাস্তা দিয়ে হাঁটছে এক অন্ধ ভিখারী সাহায্য চাইলো তার কাছে। পাগল ছেলেটি সামর্থ্যানুযায়ী দান করলো আর মুখে বিড়বিড় করে কি যেন বলল।
সামনেই আরেকজন ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলো সে পঙ্গু ছিল, তাকেও ভিক্ষা দিল আবার মুখে বিড় বিড় করে কি যেন বলল।
শবে বরাতের রাত শহরের কবরস্থানে প্রচুর ভিক্ষুক এর উপস্থিতি -কারও হাত নেই, পা নেই,অন্ধ কেউ খুধার্ত ।প্রত্যেক কেই দান করলো আবার বিড় বিড় করে কি যেন বলল।
এর মধ্যে এক লোক বলল,ভাই ভিক্ষা দিয়ে তো আপনি ভিক্ষাবৃত্তিকে উৎসাহ্ দিচ্ছেন।
ছেলেটি বলল ভাই, ভিক্ষা বৃত্তি কে উৎসাহ নয়।নবী বলেছেন, যদি কেউ তোমার কাছে রাজার বেশে ঘোড় সওয়ারী হয়ে এসেও ভিক্ষা চায় তাকে সামর্থ্যানুযায়ী সাহায্য কর, কারন তোমার আমল তোমার নিয়ত অনুযায়ী বর্তাবে।
তারা যদি ব্যাবসাও করে তাতে আমার কিছু করার নেই ভাই। লোকটি চলে গেল। সে আবার সাহায্য করা শুরু করল আর মুখে বিড় বিড় করতে লাগলো।
এবার তাকে প্রশ্ন করা হল আপনি সাহায্য করে মুখে বিড়বিড় করে কি বলেন? ফি ছাবিলিল্লাহ বলতেতো এতো সময় লাগার কথা নয়। তখন লোকটি বলল,
দেখুন এইযে আমার দান খয়রাত, এবাদত একটাও আমার জন্য আমি করিনা। আমি যার জন্য করি সে আমার প্রিয়তমার জন্য করি। আমার আমল একেবারে শূণ্য,আমি জন্মেছি তার জন্য। তাই যখন কোনও অন্ধ কে দেখি সাহায্য করি তখন আল্লাহর ওয়াস্তের সাথে এও বলি,
হে আল্লাহ আমার মনটাকে অর্থাৎ আমার প্রিয়তমার চোখ দুটোকে ভাল রেখো।
যখন পঙ্গু কাউকে দান করি তখন বলি হে আমার প্রভূ আমার প্রিয়তমার হাত পায়ে শক্তি প্রদান কর এবং তাকে পুরোপুরি সুস্থ রাখো।
চোখে জল এসে পড়ল জনৈক ব্যাক্তির এবং বলল এতো ভালওকেউ কাউকে বাসে?
বলা হল হ্যাঁ বাসে দাদা।
শুধু তাই নয়, তাঁর অসুখ বিসুখও নিজ ঘাড়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকলে নিয়ে নেন। তারা কখনও গুরু হননা, লুকিয়ে থাকেন জগতে।প্রেমের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং পরবর্তী জনমে প্রেমের জীবন লাভ করেন।
Anwar
Comments
Post a Comment