Skip to main content

প্রেমিক পাগলের দোয়া

এক পাগল প্রেমিক রাস্তা দিয়ে হাঁটছে এক অন্ধ ভিখারী সাহায্য চাইলো তার কাছে। পাগল ছেলেটি সামর্থ্যানুযায়ী দান করলো আর মুখে বিড়বিড় করে কি যেন বলল।
সামনেই আরেকজন ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলো সে পঙ্গু ছিল, তাকেও ভিক্ষা দিল আবার মুখে বিড় বিড় করে কি যেন বলল।
শবে বরাতের রাত শহরের কবরস্থানে প্রচুর ভিক্ষুক এর উপস্থিতি -কারও হাত নেই, পা নেই,অন্ধ কেউ খুধার্ত ।প্রত্যেক কেই দান করলো আবার বিড় বিড় করে কি যেন বলল।
এর মধ্যে এক লোক বলল,ভাই ভিক্ষা দিয়ে তো আপনি ভিক্ষাবৃত্তিকে উৎসাহ্ দিচ্ছেন।
ছেলেটি বলল ভাই, ভিক্ষা বৃত্তি কে উৎসাহ নয়।নবী বলেছেন, যদি কেউ তোমার কাছে রাজার বেশে ঘোড় সওয়ারী হয়ে এসেও ভিক্ষা চায় তাকে সামর্থ্যানুযায়ী সাহায্য কর, কারন তোমার আমল তোমার নিয়ত অনুযায়ী বর্তাবে।
তারা যদি ব্যাবসাও করে তাতে আমার কিছু করার নেই ভাই। লোকটি চলে গেল। সে আবার সাহায্য করা শুরু করল আর মুখে বিড় বিড় করতে লাগলো।
এবার তাকে প্রশ্ন করা হল আপনি সাহায্য করে মুখে বিড়বিড় করে কি বলেন? ফি ছাবিলিল্লাহ বলতেতো এতো সময় লাগার কথা নয়। তখন লোকটি বলল,
দেখুন এইযে আমার দান খয়রাত, এবাদত একটাও আমার জন্য আমি করিনা। আমি যার জন্য করি সে আমার প্রিয়তমার জন্য করি। আমার আমল একেবারে শূণ্য,আমি জন্মেছি তার জন্য। তাই যখন কোনও অন্ধ কে দেখি সাহায্য করি তখন আল্লাহর ওয়াস্তের সাথে এও বলি,
হে আল্লাহ আমার মনটাকে অর্থাৎ আমার প্রিয়তমার চোখ দুটোকে ভাল রেখো।
যখন পঙ্গু কাউকে দান করি তখন বলি হে আমার প্রভূ আমার প্রিয়তমার হাত পায়ে শক্তি প্রদান কর এবং তাকে পুরোপুরি সুস্থ রাখো।
চোখে জল এসে পড়ল জনৈক ব্যাক্তির এবং বলল এতো ভালওকেউ কাউকে বাসে?
বলা হল হ্যাঁ বাসে দাদা।
শুধু তাই নয়, তাঁর অসুখ বিসুখও নিজ ঘাড়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকলে নিয়ে নেন। তারা কখনও গুরু হননা, লুকিয়ে থাকেন জগতে।প্রেমের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং পরবর্তী জনমে প্রেমের জীবন লাভ করেন।

Anwar

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...