প্রেমতলাতে গেলাম সেদিন - আমার বর্তমান বাড়ি রুপ নগর, খুব কাছেই মায়াতলী থেকে প্রেমতলী। কয়েকজন সাধু আসলো বসে গেলাম সাধু সংঙ্গে। কথাচ্ছলে একজন জিজ্ঞেস করলো - দাদা রুহু তো পাঁচ প্রকার এদের অবস্থান নাকি এ দেহেতেই বর্তমান? একজন বলে উঠলো গুরু আমি বলি- হ্যাঁ পাঁচ প্রকার -
১) রুহু জামাদাতঃ (বৃক্ষ) যাহা লিঙ্গের নিচে অবস্থান করে।
২) রুহু নাবাদাতঃ (ধাতু) যাহা শরীরের মধ্যে বীর্য রুপে অবস্থান করে।
৩) রুহু হাইওয়ানী -পশু আত্মাঃ (নাভীতে অবস্থান)
৪) রুহু কুদসী বা রুহুল কুদসীঃ পরম আত্মা (বক্ষস্থলে অবস্থিত)
৫) রুহু ইনছানিয়াতঃ মানব আত্মা (মানব দেহ, মুল চালিকা)
কথাশুনে মুচকি হাসি দিয়ে বললাম - রুহ পাঁচ প্রকার না। বরং তোমার স্বভাব কর্মে তোমার প্রতি হাশরে সেই পাঁচটি রুপ ধারণ করে।
একজন বলল গুরু ব্যাখ্যা দিবেন ছোট করে। ওরা জানে আমার পেটে বোমা ফাটালেও সহজে কথা বের হয়না। অনেক অনুরোধ করার পর বললাম সংক্ষিপ্ত করে - শুনেন দাদা ভাইয়েরা প্রতিটি মানুষ তার স্বভাব সুরত নিয়েই হাশরে উঠে নিজ নিজ কর্মে। হয় যদি তার কর্ম পশুর মত তবে রুহ হাইওয়ানী স্বভাব সুরত নিয়ে উঠবে। ০৪ লক্ষ জনম মানব সুরত শেষ হওয়ার আগেও হতে পারে কর্ম গুণে রুহে নাবাদাত, জামাদাত....। প্রতিটি জনমে রুহ এক অবস্থানেই থাকে পাঁচ রকমে হয়না। নাভী বা লিঙ্গের নীচেতো রুহ থাকতেই পারেনা।
পরে আরও বিভিন্ন আলাপে শেষ হল সংঙ্গ।
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু। "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়, বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।। বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...
Comments
Post a Comment