আমার সাথে প্রায়শই দেখা করেন এক ধরণের পাগল মস্তান, কেউ কেউ তাদের মজ্জুব অলীও বলেন। কিন্তু আজ কতদিন ধরে আমার আশে পাশে তাদেরকেই দেখছি বেশী। অনেকেই আমাকে খুব ভালবাসেন, আমাকে দেখতেও আসেন। গতরাতে ঘুম হয়নি তেমন আমার। সকালে এক বৃদ্ধ আঙ্কেল এসেছেন আমাকে দেখতে/ কথা বলতে। আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা তবুও তারা আসলে আমি দেখা না করে থাকতে পারিনা। কারন ভালবাসার মূল্য কেবল ভালবাসা দিয়েই পরিশোধ করতে হয়। তাই মাথাটা ধরলেও উঠে গিয়েছি। সে অনেক কথা উনি বললেন। আমার আয়ু থেকে শুরু করে অনেক কিছু। উনি জানেন আমি নতুন কিছু একটা বলব তাকে বা জানতে চাইব।
আমার বর্তমান বাড়ীর চারপাশে কাশফুল হয়েছে অনেক। একটা কাশফুল ডগার দিকে উনি তাকিয়ে আছেন। তখন আমি বললাম, আঙ্কেল কোন সংকেত পেলেন? সৃষ্ট জগতের সবকিছুই কোন না কোনও কিছু আমাদের দৃষ্টিতে আবদ্ধ হলে সংকেত দিয়ে যায়। তো কাশফুলের ডগাতে আপনার মেসেজ সেন্টারে অর্থাৎ দমের ঘরে কিছু এল?
বলল হ্যাঁ বাবা শরীরটা বেশী ভাল যাবেনা। দয়ালের বাড়ী যেতে হবে। এ সংকেতই পেলাম। আচ্ছা বাবা এ বিষয়টা মানুষ কেন বুঝেনা?
উল্টো উনি আমাকেই প্রশ্ন ছুড়েঁ দিলেন।
আমি বলতে শুরু করলাম,
আঙ্কেল আল্লাহ পাক কাউকে জাগতিক সম্পদে ভরপুর করেছেন, কাউকে করেছেন আধ্যাত্মিক ধনে। আর এ জ্ঞান গুলি অতি সূক্ষ্ম বিষয় তাই সবার মাথায় ধরবে না, কারন তারা ইহকাল এবং পরকালে সবখানেই অন্ধ।আর এ ঘটনাগুলি বিকৃত এবং নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
হযরত দানিয়াল ( আঃ) একজন আধ্যাত্মিক নবী ছিলেন ।তিনি চন্দ্র,সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র শরীর অঙ্গ প্রতঙ্গ সকল ধরণের বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। আজকে যে জ্যোতির্বিদ্যা বা স্বপ্ন ব্যাখা শুনে থাকেন তা হযরত দানিয়াল (আ) এর অবদানেই। উনার চলে যাবার পরেই অনেক কিছু নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তিনি সকল কিছুর সংকেত পেতেন সৃষ্টির সকল কিছুর মধ্য হতেই। আমাদের দয়াল নবীপাক রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কোথাও যাত্রা করার সময়ে সুমধুর আওয়াজ শুনলে বলতেন এটা শুভ লক্ষণ।কেউ না বুঝলে না মানলে এটা তার নিজস্ব ব্যাপার। জাহেরি শরিয়তের অনুসারীগণ আল্লাহর প্রেম সম্পর্কে অনবহিত। তাই তারা এ পথের বিরোধী। যাদের মস্তিষ্ক পুড়ে গেছে তারা না নিজেকে চিনতে পারছে, না আল্লাহর সাথে তাদের আত্মিক বা রূহানী কোনো সম্পর্ক আছে, কিভাবে তারা অনন্ত জীবন লাভ করবে?
গত পোষ্টে রুহের বিষয়ে বলেছিলাম প্রতিটি রুহ তার নিজ স্বভাব কর্মে হাশরে উঠে এটা যেমন সত্য তেমনি প্রতিটি রুহের সাথে ও রুহের সম্পর্ক ঘটা চিরন্তন সত্য। চোর এলে কুকুর আপনাকে ঘেউ ঘেউ করে সংকেত দিয়ে যায়, পালিত ময়না বা টিয়া প্রশিক্ষণ অনুসারে এবং ঈঙ্গিতে সংকেত দিয়ে থাকে। কাক সংকেত, মাছ সংকেত দেয়। ভূমিকম্প হওয়ার আগেই ইঁদুর, সাপ অর্থাৎ গর্তে থাকা প্রাণী সংকেত দেয়।
তবে বর্তমান সমাজে এবং দানিয়াল (আঃ) এর যুগের পরবর্তী সময় থেকেই এ সংকেতের সাথে কুসংস্কার অনেক কিছু যোগ এবং কর্তন করে ফেলে। প্রভূর সাথে যার সংযোগ বেশী তার কাছে এ বিদ্যা খুবই সহজ। কারন " ফা লাহুল মওলা ওয়া লাহুল কুল" অর্থাৎ যে মওলার হয়ে যায়, মওলার কুল কায়েনাত তার হয়ে যায় "।
তোমায় উৎসর্গিত
A N W A R —
Comments
Post a Comment