Skip to main content

পরহেজগারদের নেতা মওলা আলী

একদল লোক শিয়াদের মওলা আলী (আ:) এর অনুসারী মনে করে আরেক দল সুন্নিদের কে। আমার প্রশ্ন হল ---কোথায় ছিল সেদিন শিয়া আর সুন্নিরা যেদিন ফদকের জমি নিয়ে আমার মা ফাতেমা (রা:)কে উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বন্ঞ্চিত করা হয়েছিল? খলিফা যখন মায়ের কথার সত্যতা যাচাইয়ে স্বাক্ষী হিসেবে পরিবার ছাড়া অন্য দুজনকে দাঁড় করাতে বলেছিল মা ফাতেমাকে তখন উম্মে আয়মান রা: (দয়াল নবী যাকে মাতার মর্যাদা দিয়েছেন) কে ছাড়া আর কাউকেতো পাওয়া গেলোনা? কেন কথা বলার লোক পাওয়া গেলোনা? কেন নবী পাক সম্পত্তি দিয়ে যাবার পরও অভাবে মওলা আলীকে দিন যাপন করতে হল?কেন নবী পাকের নাতীদের ঈদ পোশাকের জন্য মা নবীপাকের আদরের দুলালীকে কাঁদতে হল ঈদের দিন সকালে? কোথায় ছিল সেই সময় শিয়া সুন্নিরা? প্রকৃত ইতিহাস না জেনে কোন নির্দিষ্ট গোত্রকে মওলা আলীর দল বলা নিতান্তই মূর্খতা। মওলা আলী ছিলেন বেলায়েতের সরদার। প্রভুকে যারা সেই বেলায়েত দ্বারা অন্বেষণ করে মওলা আলীর দলের তারা। কেউ কেউ সেটাকে মারেফত বলে থাকে। মূলত শরীয়ত,তরিক্বত,হাক্বিকত, মারেফত সকল জ্ঞান ছিল মওলা আলীর দখলে।দয়াল নবী নিজেই বলেছেন --"হে জনগন এমন কোন জ্ঞান নেই যা আল্লাহপাক আমাকে দেননি,এবং আমি পরহেজগারদের নেতা আলী (আ:) সেই জ্ঞান শিখিয়েছি "।উনার দল এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।আর পরহেজগার যাঁরা তাঁরা এ দলাদলিতে থাকেন না। যেমন বড়পীর আবদুল কাদের জীলানি রহ: এর কথা বলতে হয় যিনি আধ্যাত্মিকভাবে মওলা আলীর থুতু মোবারক খেয়ে বেলায়েত প্রাপ্ত হয়েছেন। ওদিকে যাবনা ওটা বড় একটা ঘটনা সম্ভবত নুজহাতুল মাজালিশ নাম কিতাবটার পড়ে দেখবেন। বন্ধুগন মনে রাখবেন "যারা দ্বীনে পরিবর্তন আনে নবীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেনা এবং উনার প্রতিনিধির আমল করেনা,গায়েবের প্রতি ঈমান আনেনা। দোষ হতে নিজেকে না সরিয়ে সংশয়ের মধ্যে কাজ করে এবং কামনা বাসনার পথে পরিচালিত হয়। এদের জন্য অাফসোস! (মওলা আলী)।
তাই প্লীজ নবীপাক এবং বেলায়েতের শাহেনশাহ কে কোন দলে টানবেন না।

‪‎Md Anwar Hossain‬

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...