Skip to main content

Posts

Showing posts from 2016

ভক্ত কবীর দাস

একদা রামভক্ত শান্ত কবীর তাঁর ব্যাবসার কাজে এক দোকানীর বাসায় দাওয়াত নিলেন। দেখলেন সারি সারি  শ্রী  রাম কৃষ্ণের মূর্তি সাজানো। কবীর ধরে ধরে মূর্তিগুলোর ওজন বললেন। দোকানী রেগে বললেন- ছুঁয়ে দিলেতো সব শেষ করে। কবীর বলল- মূর্তি পূজার কী প্রয়োজন? দোকানী রাগী কন্ঠে বলল তুমি চলে যাও তোমার দেনা-পাওনা নিয়ে। তুমি আমার ধর্ম নিয়ে উল্টো -পাল্টা কথা বলছো।কবীর বলল -কেউ ছুঁয়ে দিলে যদি ভগবান অস্পৃশ্য বা নাপাক হয়ে যান তবে সে ভগবানের পূজো করে কী লাভ।রাম- কৃষ্ণ আমার এ হৃদয়ে থাকেন বরং সবার মাঝেই থাকেন কোন স্পর্শেই তারা নাপাক হন না। সকল ভক্তের মাঝেই থাকেন। যখন রামের সাথে গভীর সম্পর্ক হয়ে যায় তখন মূর্তি বা মুরদ হৃদয়ে প্রতিস্থাপন হয়ে যায় -মাটির মূর্তির তখন মূল্য থাকেনা। পরিশেষে দোকানী কবীরের খুব ভক্ত হয়ে গেলো এবং বুঝতে পারল তাঁর কথার মর্মার্থ। মুসলিম মোল্লারা কবীরকে কাফের বলত মুসলমান হয়ে রামভক্ত বিধায় এবং হিন্দুরা বলত যবন।  কবীর বলত না আমি হিন্দু না মুসলমান। আমার ধর্ম প্রভূর চাওয়া কে পূর্ণ করা। #MdAnwarHossain ছবি :সংগৃহীত।

সির্দি সাই

মহাত্মা সির্দি সাই মানুষের কাছে প্রচার করতেন যে-      "সবার ভগবান একজনই" নানুবলি নামে এক ভক্ত বলেছিল- সবার ভগবান যদি এক হয় তবে রাম- কৃষ্ণা মহাদেব এরা কারা? তখন সির্দি সাই বলেছ...

কারবালা/Karbala

ইমাম  হোসাইনের শাহাদাৎ --------------------------------------------------------------- ৬০ হিজরীর রজব মাসে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া ওফাতের পর ইয়াযিদ মদীনা মুনাওয়ারাহর গভর্ণর ওয়ালিদ বিন উতবার নিকট এই মর্মে পত্র প্রেরণ করে যে, “হযরত ইমাম হুসাইন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কর্তৃক ইয়াজিদের নিকট বায়’আত হওয়ার স্বীকারোক্তি নামা দ্রুততার সাথে সংগ্রহ কর। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বায়’আত গ্রহণ না করে,তাদেরকে ছাড়বেনা । [ইবনে কাসীর ও তাবারীর বর্ণনায় এসেছে- فَخُذْ حُسيناً وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِالْبَيْعَةِ أَخْذًا شَدِيدًا لَيْسَتْ فِيهِ رُخْصَةٌ حَتَّى يُبَايِعُوا অর্থাৎ হুসাইন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ও ইবনে যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম কে এমনভাবে পাকড়াও কর, যেন বাইয়াত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি না পায় । হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইয়াযিদের বায়’আত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মক্কা মুকাররামায় চলে যান। ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট ইয়াযিদ মুসলিম জাহানের ইমাম ও নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সম্পূ...

তরীকতের দস্যু

অনেকে আমাকে ভাবেন আমি হিন্দু ধর্মের সমর্থক অনেকে ভাবেন গোঁড়া ধার্মিক অথচ তারা জানেনা যে সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার পথ অনেক। ইসলাম হচ্ছে প্রভুকে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ। আর অন্যান্য ধর্মের চেয়ে এ ধর্মে একটু বেশী সহজ বিধায় এটাকে মনোনীত করেছেন প্রভূ। তাই বলে কি অন্য ধর্মকে ঘৃণা করেন প্রভূ? নিশ্চয়ই তা নয়। সকল ধর্মেই প্রভূর প্রশংসাগীতি গাওয়া হয় এবং প্রভূ তা শোনেনও নয়তো লুত আ: অথবা নূহ আ: এর জামানার মত প্রলয় ঘটাতেন প্রভূ।আমি ওনাকে পেতে দয়াল নবীর মতো যদি ইহুদিকে নিজের পাগড়ী খুলে বসতে দিতে হয় তাই দেব। অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করলেই কেউ সে ধর্মের হয়ে যায়না। বরং আমাদের ভাবতে হবে সেই মহান পরমের ভালবাসা পেতে তার প্রদত্ত  আহমদী গুণের সমাবেশ আমাদের মাঝে ঘটাতে হবে। যাতে করে পরমের সন্তুষ্টি পেতে পারি আমরা। তা না করে আজ ধর্মগুলি বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। সবাই নিজ ধর্মকে বড় করতে গিয়ে অন্য ধর্মকে হেয়,অবহেলা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনোভাব পোষণ করছি। আর একদল আছে নিজ ধর্মে থেকেও ভ্রান্ত মতবাদের ধুঁয়ো তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ভন্ডামী দেখিয়ে তারা সেজেছে পীর। যাতে প্রকৃত পীর-মাশায়েখদের বদনাম হচ্ছে।...

গান-বাজনা /ছেমা :-

আমরা মাঝে মাঝে অনেক দ্বিধায় পড়ে যাই আসলে কি গান-বাজনা হারাম? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আলেম সামাজ কে দুই ধারায় বিভক্ত দেখা যায় একদল বলছে হারাম আর সবাই বলছে জায়েজ। আসু...

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...