Skip to main content

গান-বাজনা /ছেমা :-

আমরা মাঝে মাঝে অনেক দ্বিধায় পড়ে যাই আসলে কি গান-বাজনা হারাম? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আলেম সামাজ কে দুই ধারায় বিভক্ত দেখা যায় একদল বলছে হারাম আর সবাই বলছে জায়েজ। আসুন এবার আমরা গুরুবাদীরা একটু চেখে দেখি এটা হারাম না হালাল:-->
সেমা বা গান বাদ্য ঐ ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের জন্য মোস্তাহাব যাঁরা আহলে মারেফত ও খোদায়ী জ্ঞান সম্পন্ন এর দ্বারা তারাই ফায়দা লাভ করে থাকে। সেমা কে হারাম বলতে গেলে শরীয়তের মাসয়ালা মাসায়েল সম্বন্ধে ভাল জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
শরীয়তের মাসলা-মাসায়েল "নছ" (কোরআন হাদীসের দলীল) ও "কেয়াস" (কোরআন হাদীস ভিত্তিক কেয়াস) এর উপর নির্ভরশীল। আল্লাহপাক তারঁ হাবীব কে দিয়ে য প্রকাশ করেছেন এবং নবীপাকের কথায় ও কাজে যা প্রকাশিত হয়েছে তাকে নছ বলে। উল্লেখিত নছের সাথে মিল রেখে কেয়াসের দ্বারা যেই আদেশ ও নিষেধ প্রদান করা হয় তাকে কেয়াস বলে। যদি কোন বিষয়ে পরিস্কার 'নছ' ও ' কেয়াস ' না থাকে তাকে শরীয়ত মতে হারাম বলা যায়না। সেমা গান বাদ্য হারাম সম্বন্ধে কোন নছ এবং কেয়াস বর্ণিত নেই। বরং নছ দ্বারা সুন্দর আওয়াজ শ্রবণ মোবাহ ও জায়েজ। এ সম্পর্কে লেখার শেষে বলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্।
আমি শরীয়তের কিছু দলীল দ্বারা চেষ্টা করব এই ভ্রান্তি দূর করার।
দলীল নং ১):-
হজরত আয়েশা (রা:) বলেন -আমার নিকট একটি মেয়ে গান করছিল। তখন দয়াল নবী(দরুদ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং মেয়েটি গান চালু রাখল। ওমর (রা:) সেই ঘরে প্রবেশ করলে মেয়েটি লুকিয়ে গেল এই অবস্থা দেখে দয়াল নবী(দরুদ) হাসছিলেন। হযরত ওমর হাঁসির কারন জিজ্ঞেস করলেন। তখন সাহারে মুহম্মদ (দরুদ) মেয়েটি এবং গানের কথা বললেন। ওমর বলল আপনি যা শুনেছেন তা না শুনা পর্যন্ত আমি এই স্থান হতে সড়িব না। তখন মেয়েটি কে দয়ারে মুহম্মদ (দরুদ) গান গাইতে আদেশ দিলেন এবং হযরত ওমর কে শুনাইলেন (তাফসীরে আহমদী)
দলীল নং( ২):-
হযরত আয়েশা (রা:) বলেছেন-আমার নিকট আনসারের একজন কন্যা ছিল আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের অনুষ্ঠানে নবী পাক বললেন"হে আয়েশা! তুমি কি গান করাইবে না? এটাতো আনসারের মহল্লা, তারা গান করতে ভালবাসে।" (সহীহ ইবনে হাব্বান,ইবনে মাজা)
দলীল নং (৩):-
বোখারী শরীফের কিতাবুল জিহাদ অধ্যায়ে ১৭১৪ নং হাদীসে বলা হয়যে, হযরত আয়েশা বলেন -দুটি মেয়ে আমার নিকট বু'আছ যুদ্ধের ঘটনা সম্বলিত গান গাচ্ছিল। এমন সময় নবীপাক আসলেন। বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিয়ে অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে পড়লেন। ঠিক এমন সময় আবু বকর এসে নিজ কন্যাকে ধমক দিয়ে বললেন রাসুলের সামনে শয়তানের বাদ্য?দয়াল নবী তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন -তাদের কে করতে দাও বাধা দিওনা। (যদিও বিকৃতভাবে হাদীস টি বর্ণনা করা হয়।)
দলীল নং (৪):-
নবীপাকের  দুই সাহাবী কোরাইজা বিন কাব এবং আবু মউছুদুল আনসারী তাদের বাড়ীর প্রতিবেশী স্ত্রী লোকদের গানবাজনা শুনছিলেন ;এমন সময় হযরত ছাআদের পুত্র আমের( রা:) তাদের লক্ষ্য করে বললেন -হে নবীপাকের সহচরবৃন্দ আপনাদের সম্মুখে এসব কি হচ্ছে? তারা বলল -তোমার যদি ইচ্ছে হয় তুমিও আমাদের সাথে গান শুন;আর যদি না শুন তবে চলে যেতে পার। নিশ্চয়ই নবীপাক আমাদের বিয়ে শাদীতে গান করতে অনুমতি প্রদান করেছেন। (নাসায়ী শরীফ ও হাকেম রা: বর্ণিত)

দলীল নং( ৫):-
দয়াল নবিজী হানবিন ছাবিতের সাথে একস্থানে গিয়ছিলেন সেখানে কয়েকজন সাহাবাকে দেখলেন বাক্হীন অবস্থায়। এবং ঐ স্থানে শিরীন নামক একজন মহিলা মেজমার নামক একপ্রকার বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সবাইকে গান শুনিয়ে বিহ্বল করেছিল। নবীপাক সেখানে আদেশ নিষেধ কিছুই করলেন না। শিরীন নবীকে জিঙ্গেস করল- গানবাজনা করার দরুন আমার গুণাহ হবে কি?নবীপাক হেসে বললেন -আল্লাহ পাক চাহেন তো হবেনা।(হযরত ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত দারকুতনী কিতাব)।

দলীল নং (৬):-
হযরত আয়েশা(রা:) হতে বর্ণিত নবীপাকের কাছে একজন স্ত্রীলোক আসলে তিনি আমাকে বললেন হে আয়েশা তাকে চিন? চিনিনা বলতে নবীপাক বললেন - উনি অমুক ব্যাক্তির গায়িকা। তুমি তার গান শুনবে? আমি হ্যাঁ বলতেই মেয়েটি গান শুরু করল। (তিবরানী,নাসায়ী)
এগুলো ছাড়াও আরও বহু দলীল আমি পেশ করতে পারি কিন্তু করলাম না। কেননা-সমাজদার কে লীয়ে ইশারাহী কাফি হে '।তাই বলে ভাববেন না সব গান আপনি শুনতেে পরবেন। নিষিদ্ধ গান ওটাই যে গানের শব্দে নাজায়েজ বিষয় আছে যেমন কারও দেহ নিয়ে যৌনতা ছড়ানো, শরাবের প্রশংসা, গালির শব্দ আটক জিম্মিদের উস্কানী দেয়া,কোন ধর্মকে গালি দেয়া ইত্যাদি।(রুদ্দুল মোখতার)

কোনও ফাহেশা কাজই কখনও স্বীকৃত নয় কস্মিনকালেও, তবে ফাহেশা বা হারাম কাজ সম্পর্কে ভাল ধারনা না থাকলে অযথা মোল্লাগিরি করে আমাদের কি লাভ? সাধারণ চোখেও পাপ /হারাম সহজে ধরা পড়ে। অথচ যারা অন্ধ বা বধির তারাই ব্যাপারটিকে নিয়ে হৈ হুল্লোর বাধিয়ে দেয়। না করে উপায়াইবা কি কিছু কিছু এলাকায় বিয়ের নামে গায়ে হলুদের নামে যে বেহায়াপনা শুরু হয়েছে তাতেতো তারা ভেংচি কাটবেই।
যাই হোক মূল কথায় আসি, রাগ গান হারাম সম্বন্ধে যে সব হাদীস বর্ণিত উহা ঐ সব রাগ গানের উপর প্রযোজ্য যেগুলি শয়তানী কার্য যেমন কামভাব ও ইশকে মেজাজী সম্বলিত ;কিন্তু সেই রাগ গানের দ্বারা যদি খোদায়ী প্রেম অর্জিত হয় তাহা পছন্দনীয় কাজ অর্থাৎ ইবাদত। যদি খুশী জনিত কাজ মোবাহ হয় তবে ছেমাও মোবাহ বা জায়েজ (ইমাম গাজ্জালী রা: ইহইয়াউল উলুম কিতাব /কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথি রা: থেকে বর্ণিত,খজানা বাকী)
রাসূল পাক (দরুদ) মক্কা থেকে মদীনা শরীফ এর আগমন উপলক্ষ্যে মদীনার মেয়েলোক গণ ছাদে উঠে দফ বাজিয়ে রাগ সুরে গান করছিল। হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাফর,কাজী ছালেম বিন আবদুল্লাহ বিন আমর (রা:),ছাঈদ বিন জুবাইর রা:,আব্দুল মালেক জরীহ (রা:),তাঁরা প্রত্যেকে যুগের শ্রেষ্ঠ তাবেঈন,আলেম,হাফেজ, ফক্বীহ সবাই গান শুনতেন এবং কেউ কেউ সুর সম্বন্ধে জ্ঞানী ছিলেন।
ইব্রাহীম বিন ছাআদ (রা:) যিনি ফিক্বাহ ও হাদীস শাস্ত্রে যুগের ইমাম ছিলেন এবং হাদীস পড়াতেন। তিনি ছাত্রগণকে হাদীস শুনাতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে গান করে না শুনানো হত।
ইমাম আবু হানিফা (রা:) এর একজন প্রতিবেশি প্রত্যেক রাতে রাগ-রাগিনীর সাথে একটি গান করত। গানটির অর্থ "আমি নিজেকে ধ্বংস করেছি  ঐ যুবকদের জন্য অাফসোস যারা ভয়ানক এবং সঠিক দিনে ক্ষতিগ্রস্থ হবে"। ইমাম সাহেব প্রতিদিন এ গানটি শুনতে পেত। একদিন না শুনতে পেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলেন গায়ক যুবকটি আমীর ইছার কারাগারে বন্দী হয়েছে। ইমাম সাহেবের সুপারিশের কারনে আমির ওমর নামের ঐ যুবকটিকে ছেড়ে দিলেন। মাদারেজুন নবুয়ত গ্রন্থে আছে -কারাগার থেকে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইমাম আবু হানিফা ছেলেটিকে বলল-তুমি প্রতি রাত্রে যে গানটি গাইতে তা এখন গাও।
সুতরাং ফাহেশা গান থেকে বেঁচে থেকে প্রভুর প্রেমের স্মরণে শুনবেন গান। আর প্রভুর চেয়ে উর্ধে কোন প্রেম হতে পারেনা। সকল ইমাম ফাহেশা গানের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। যদিও ইমাম শাফী (রা:) বলেন- "গান একটি অনর্থ জিনিস যা বাতেলের সাথে তুলনা করা যায়। "
এর জবাবে ইমাম গাজ্জালী (রা:) বলেন -ইমাম শাফেয়ীর উক্ত কথার দ্বারা গান হারাম বা মাকরুহ প্রমাণিত হয়না। বাতেল শব্দের অর্থ হল যাতে কোন লাভ নেই। যদিও ইমাম শাফেয়ীর গানের মজলিসে যাতায়াত ছিল। ইবনে হাম্বলও অনুরুপ ছিলেন।
এবার আসি সুন্দর আওয়াজ সম্পর্কে। আল্লাহপাক সুন্দর আওয়াজহীন কোন নবী প্রেরণ করেননি। মহানবী(দ:) বলেছেন-হযরত দাউদ (অা:) ক্রন্দণরত অবস্থায় যবুর কিতাব তেলাওয়াত খুবই সুন্দর আওয়াজের অধিকারী ছিলেন। এমনকি মানব,দানব,পশু পাখী একসাথে হয়ে সেই তেলাওয়াত শুনত।তারঁ সুন্দর আওয়াজ শুনে উক্ত মজলিসে চারশত লোক জ্ঞান হারিয়ে ফেলত।

প্রখ্যাত সাহাবী আবু মুসা আশআরীর প্রশংসায় নবীপাক বলেছেন -নিশ্চয়ই তাকে দাউদ বংশের সেতার হতে একটি সেতার তাকে দেয়া হয়েছে।

মাওলানা রুমী (রা:) মছনবী শরীফে বর্ণনা করেন -"ছেমা বা গান আশেকানদের মনের খোরাক যেহেতু উহাতে খোদায়ী মিলনের খেয়াল নিহিত।দিলের খেয়াল ছেমা দ্বারা শক্তি প্রাপ্ত হয়;এমনকি রাগের আওয়াজে ছুরত পর্যন্ত পরিবর্তন হয়। আগুনের মধ্যে কয়লার গুঁড়া নিক্ষেপ করলে আগুন যেমন প্রজ্বলিত হয় ঠিক তেমনি।.......রাগ গানের মধ্যে আল্লাহপাকের যে রাজে আছরার নিহিত উহা যদি বর্ণনা করি জগৎ উলট পালট হয়ে যাবে। "
শায়খুল আকবার আল্লামা মুহীউদ্দীন ইবনুল আরাবী (রা:) ফতুহাতে মক্ক্বীয়াতে বলেন-"ছেমা আমাদের নিকট অনির্দিষ্টভাবে মোবাহ যেহেতু হারাম সম্বন্ধে নবীপাকের কোন হাদীস হতে সঠিক বর্ণনা নেই।"
হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়ার একজন শিষ্য তাঁর নিকট আরজ করিলেন -হুজুর বুজুর্গানেদ্বীন গন যেই এবাদত করেন তার কিছুই আমি করিনা কিন্তু যখন গান শ্রবণ করি তখন আমার দিল নরম হয়ে যায় এবং মানসিক শান্তি লাভ করি। আর যখন আপনার সামনে আসি মনের কু-খেয়াল এবং কু-ধারণা দূর হয়ে যায়।দুনিয়ার কোন মোহ অন্তরে বিরাজ করেনা।
মূর্শিদ নিজামউদ্দীন রা: বলেন-ছেমা দুই প্রকারের ১)হাজেম (২)গায়রে হাজেম। হাজেম তাকেই বলে যে গানের দ্বারা অন্তরে একপ্রকার কম্পন সৃষ্টি হয় যার বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয়।আর গায়রে হাজেম হল যে গানের প্রভাবে তাকে খোদায়ী নৈকট্য লাভে বা গুরুর ধ্যানে বা অন্তরে যা বিরাজ করে তৎস্থানে উপনীত করে। (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ)
তাজকেরাতুল মায়াদ নামক কিতাবের প্রথম পরিচ্ছেদে ছেমা সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে তন্মধ্যে একটি কথা না বললেই নয় তাহল -মানুষের অন্তরে আল্লাহপাকের রহস্য নিহিত। তা এমনভাবে গোপন রয়েছে যেমন লোহা ও পাথরের মধ্যে আগুন লুকায়িত।যখন লোহাকে আঘাত করা হয় তখন আগুন জ্বলে উঠে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি সুন্দর ছন্দে গানগীতি প্রেমিকদের অন্তরের মুক্তাকে কাঁপাইয়া তোলে যা আলমে আরওয়াহর সাথে সম্পর্ক।

যুক্তি খন্ডন ও জবাব:-
----------------------------
বিপক্ষ দলের প্রথম দলীল:-
"কিছু লোক খেল তামাসার (লাহুয়াল হাদীস)কথাবার্তা কিনে নেয় যেন অজ্ঞাতসারে আল্লাহর পথ হতে (মানুষকে)গোমরাহ করে এবং আল্লাহর পথের (ইসলামের প্রতি)ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। "(আল কোরআন)।
হযরত ইবনে মাসউদ (রা:),ইবনে আব্বাস(রা:) এবং হাসান বসরী (রা) লাহুয়াল হাদীসের ভাবার্থ গোণাহ বলেছেন।
জবাব হল-লাহুয়াল হাদীস মানে খারাপ কথাবার্তা দ্বীনের পরিবর্তে খরিদ করা। এটাতে কোন মতানৈক্য নেই কারও। কিন্তু ছেমা গানের কথাবার্তাতে কোন খারাবী থাকেনা। এবং দ্বীনের পরিবর্তে খরিদও করা হয়না।(ইহইয়াউল উলুম)।
★কোন একজন মোনাফেক মানুষের কাছে সূরা আবাছা ছাড়া অন্যকোন সূরা পাঠ করত না যেহেতু উক্ত সূরায় রাসূলপাকের প্রতি আল্লাহপাক কিছু রাগ দেখিয়েছেন।
উক্ত মোনাফেক ব্যাক্তির কাজ তখন হারাম হয়েছে যেহেতু গোমরাহ করার উদ্দেশ্য রয়েছে।তদ্রুপ কেউ যদি ছেমা দ্বারা গোমরাহ করে তবে তা অগ্রগণ্য হারাম।
কেউ কেউ বলেন -জোনায়েদ বোগদাদী (রা:) এক সময় ছেমা শুনতেন পরে তওবা করেছেন। যা নিতান্তই মিথ্যা। কেননা আহলে ছুলুক কেউ তাঁর তওবার কথা উল্লেখ করে নাই।শুধুমাত্র আওয়ারেদ কিতাবে উল্লেখ আছে। উনি শেষ জীবনে ছেমা করতেন না। উনাকে প্রশ্ন করা হলে বলেন-কার সঙ্গে ছেমা করব। তওবার কথা বলেন নি।আর যদি বলেই থাকেন তবে জেনে রাখা ভাল আহলে মারেফতেরা সব সময় এক অবস্থা থাকেনা। এর দ্বারা ছেমা হারাম হয়না।
#MdAnwarHossain

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...