অনেকে আমাকে ভাবেন আমি হিন্দু ধর্মের সমর্থক অনেকে ভাবেন গোঁড়া ধার্মিক অথচ তারা জানেনা যে সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার পথ অনেক। ইসলাম হচ্ছে প্রভুকে পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ। আর অন্যান্য ধর্মের চেয়ে এ ধর্মে একটু বেশী সহজ বিধায় এটাকে মনোনীত করেছেন প্রভূ। তাই বলে কি অন্য ধর্মকে ঘৃণা করেন প্রভূ? নিশ্চয়ই তা নয়। সকল ধর্মেই প্রভূর প্রশংসাগীতি গাওয়া হয় এবং প্রভূ তা শোনেনও নয়তো লুত আ: অথবা নূহ আ: এর জামানার মত প্রলয় ঘটাতেন প্রভূ।আমি ওনাকে পেতে দয়াল নবীর মতো যদি ইহুদিকে নিজের পাগড়ী খুলে বসতে দিতে হয় তাই দেব। অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করলেই কেউ সে ধর্মের হয়ে যায়না। বরং আমাদের ভাবতে হবে সেই মহান পরমের ভালবাসা পেতে তার প্রদত্ত আহমদী গুণের সমাবেশ আমাদের মাঝে ঘটাতে হবে। যাতে করে পরমের সন্তুষ্টি পেতে পারি আমরা। তা না করে আজ ধর্মগুলি বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। সবাই নিজ ধর্মকে বড় করতে গিয়ে অন্য ধর্মকে হেয়,অবহেলা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনোভাব পোষণ করছি। আর একদল আছে নিজ ধর্মে থেকেও ভ্রান্ত মতবাদের ধুঁয়ো তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ভন্ডামী দেখিয়ে তারা সেজেছে পীর। যাতে প্রকৃত পীর-মাশায়েখদের বদনাম হচ্ছে। আজকে তাদের নিয়েই লেখাটি আমার।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দস্যুর নাম শুনেছি যেমন জলদস্যু,ভূমিদস্যু কিন্তু আজ আপনাদেরকে পরিচয় করে দেব তরিকতের ভেতরে যে দস্যু আছে তাদের সাথে।
মূলত দস্যুদের স্বভাব চরিত্র হচ্ছে অন্যের সম্পদ হরণ করা কিন্তু তরিকতের এ দস্যুরা আরও ভয়ঙ্কর। উপরে লেবাস পড়ে শাহ্ পদবী নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আবার কেউ এমন লেবাস পড়েছেন এবং সমাজে এমনভাবে গদিতে বসে আছেন রুমাল জড়িয়ে যেন উনারাই বড় তাপসী দেশে আর তাপস নেই হাসান বসরিও তাদের লেবাসে ফেল।ব্যাপারটা এরকম-
"ভাঙ্গা একখান নাও
নাম রাখছে ময়ূরপঙ্খী "।
এদের অভ্যেস হল ভক্তদের কাছে টাকা চাওয়া নানান অজুহাত তৈরি করে অর্থ আদায় করা।গরীব ভক্তদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। জ্ঞানের ছিটেফোটাও নেই কিন্তু ভাব দেখায় যেন উনিই শাহজালাল হয়ে গিয়েছেন। কথা বলতে গেলে একমাসে সিরিয়াল পাওয়াটাও কষ্ট। ভক্তদের শিখানোর কোন ও প্রচেষ্টা নেই কয়েকটা অজিফার বই ছাপিয়ে রাখে ব্যাস টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যাও ব্যাস হয়ে গেলো পীর মুরিদী।টাকার জোড়ে প্রচারও তাদের কম নয় অথচ যাদের কাছে জ্ঞান মওলা আলী, খাজা বাবার পক্ষ থেকে আসে তাদের প্রচার নেই।তরিকতের নামে তত্ত্ব দেয়ার নাম করে যে কত লোক হয়রানির শিকার হয়েছেন তা খোঁজ খবর নিলেই ভাল জানতে পারবেন। এমনও দরবার আছে যারা লোক বেছে বেছে আপ্যায়ন করে, ভুল তত্ত্ব দেয় ।ওদের কাছে গিয়ে একটি প্রশ্ন করুন যে, কোথায় প্রভুর অবস্থান কোথায় ? আঙ্গুল উচিয়ে সে আসমান দেখাবে। তখন ভাববেন ও একটা ভন্ড। সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রেখে বাহ্যিক আসমানে থাকবেন প্রভু, বোকারাই এ ধারণা রাখে। আসমান শ্রেষ্ট সৃষ্টি নয় অতএব প্রভূ সেথা থাকবেন না। প্রভূর অবস্থান শ্রেষ্ঠতম যায়গাই হবে।যিনি প্রকৃত গুরু বা সূফী তিনি কখনই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করবেন না। যারা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের দ্বারা অন্যের কল্যানতো দূর নিজের কল্যাণই করতে পারেনা। তার দ্বারা লোকদের সে রকমই দূর্দশা হয় কপটমুনির দ্বারা রাজা প্রতাপভানুর যে রকম দূর্দশা হয়েছিল(দেখুনরামচরিতমানস,
বালাকান্ড১৫৩-১৭৫)।প্রভু সকলকে বন্ধু করেন কাউকে চেলা বানান না।যেমন নিষাধরাজ ছিলেন সিদ্ধ ভক্ত।বিভীষণ ছিলেন সাধক সুগ্রীব ছিলেন ভোগী।কিন্তু রাম তিনজনকেই মিত্র করেছিলেন। অর্জুনও নিজেকে শিষ্য মনে করতেন। যে নিজে বড় সে অপরকে বড় করে তোলেন যে নিজে ছোট সে অপরকে ছোট করেন। ওসমান হারুনি কে কজনে চিনে অথচ তার শিষ্য খাজা বাবাকে সবাই চিনে।
তরীকতের দস্যু গুলির খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন তারা সম্পদের পাহাড় গড়ছেন, সূফিবাদের নাম বিক্রি করে চলছেন।দোষ আমাদের ই আমরাই সেথায় ভীর জমাই মাকাল ফলের কাল্পনিক সূরা আমরাই পান করে তৃপ্তি লাভ করি। কেউ বলে নাফসীর মোকামে গেলে আর এবাদত লাগেনা,কেউ বলে আল্লাই জিব্রাইল ইত্যাদি বানানো মুখরোচক কথা দ্বারা মানুষকে ধান্দায় ফেলে দিয়েছে। যার কারনে সিদ্ধান্ত নেয়াই কষ্টকর হচ্ছে। শরীয়তের কিছু মোল্লাদের চেয়ে এরা ভয়ঙ্কর কেননা জলদস্যু আপনাকে আক্রমণ করলে উপস্থিত অবস্থায় যা পাবে তাই নিবে কিন্তু তরিকতের এই দস্যুরা আপনাকে সর্বশান্ত করে ছাড়বে। তাই সে পুরনো ডায়ালগ "নকল হতে সাবধান "।
#MdAnwarHossain
Comments
Post a Comment