Skip to main content

ভক্ত কবীর দাস

একদা রামভক্ত শান্ত কবীর তাঁর ব্যাবসার কাজে এক দোকানীর বাসায় দাওয়াত নিলেন। দেখলেন সারি সারি  শ্রী  রাম কৃষ্ণের মূর্তি সাজানো। কবীর ধরে ধরে মূর্তিগুলোর ওজন বললেন। দোকানী রেগে বললেন- ছুঁয়ে দিলেতো সব শেষ করে। কবীর বলল- মূর্তি পূজার কী প্রয়োজন? দোকানী রাগী কন্ঠে বলল তুমি চলে যাও তোমার দেনা-পাওনা নিয়ে। তুমি আমার ধর্ম নিয়ে উল্টো -পাল্টা কথা বলছো।কবীর বলল -কেউ ছুঁয়ে দিলে যদি ভগবান অস্পৃশ্য বা নাপাক হয়ে যান তবে সে ভগবানের পূজো করে কী লাভ।রাম- কৃষ্ণ আমার এ হৃদয়ে থাকেন বরং সবার মাঝেই থাকেন কোন স্পর্শেই তারা নাপাক হন না। সকল ভক্তের মাঝেই থাকেন। যখন রামের সাথে গভীর সম্পর্ক হয়ে যায় তখন মূর্তি বা মুরদ হৃদয়ে প্রতিস্থাপন হয়ে যায় -মাটির মূর্তির তখন মূল্য থাকেনা।
পরিশেষে দোকানী কবীরের খুব ভক্ত হয়ে গেলো এবং বুঝতে পারল তাঁর কথার মর্মার্থ।
মুসলিম মোল্লারা কবীরকে কাফের বলত মুসলমান হয়ে রামভক্ত বিধায় এবং হিন্দুরা বলত যবন।  কবীর বলত না আমি হিন্দু না মুসলমান। আমার ধর্ম প্রভূর চাওয়া কে পূর্ণ করা।
#MdAnwarHossain
ছবি :সংগৃহীত।

Comments

Popular posts from this blog

গুরু শিষ্য

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু।                                          "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়,                                           বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।।                          বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...

সাধকের জীবন ও কর্ম (১১-২০ পর্ব)

সাধকের জীবন ও কর্ম (পর্ব:১১) -------------------------------------------- হযরত হাসান বছরী রহ: বলেন, আমি চারটি লোকের নিকট খুবই অপ্রস্তুত হয়েছি ও কিছুু শিক্ষা অর্জন করেছি।‎তাদের একজন হিজরা,দ্বিতীয়জন মাতাল, তৃতীয়জন বালক এবং চতুর্থজন একটি মহিলা। কীভাবে তা বলছি - (ক) একদা আমি একটি হিজরা (নপুংসক) লোকের পরিহিত কাপড় ধরে আকর্ষণ করায় ‎সে বলল,জনাব! আমার গোপন রহস্য বাইরে এখনো প্রকাশ পায়নি আপনি কি তা প্রকাশ করে দিতে চান? তৎক্ষণাত প্রভূর গোপন থাকার বিষয় আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে। (খ)একদা একটি মদখোর মাতাল অবস্থায় হেলে-দুলে পথ চলছে। আমি তাকে বললাম, পথ পিচ্ছিল কিন্তু সাবধানে পা ফেল,নইলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে জবাবে বলল,তুমি তোমার পা দুটোকো ঠিকভাবে ফেলে চলো। আমি তো মাতাল মানুষ, আছাড় খেলে কিন্তু ক্ষতি হবেনা। নিজের কাপড়ে ময়লা লাগলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব। কিন্তু তুমি বড় এক আউলিয়া, তোমার শিষ্য - সাগরেদের অভাব নেই। তারা তোমার উপরেই ভর করে চলে। যদি চলার পথে তুমি কুপোকাত হও তবে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবারই এক অবস্থা হবে। কাজেই আমার চাইতে পথ চলার ক্ষেত্রে তোমার দ্বায়িত্ব অনেক বেশী। (গ) একদা একট...

জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিন

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জ...