মানুষের স্বভাব এই যে, আমরা কোনও ভাল খাবার খেলে তা আবার খাওয়ার বাসনা করি। কোনও সুন্দর দর্শণীয় স্থানে গেলে সেখানে আবার যাওয়ার ইচ্ছা রাখি। জীবনে কোনও আনন্দময় ঘটনা ঘটলে তার রেশ সবসময় এক রকম থাকুক সে বাসনা বা আশা করেই থাকি। এক গ্লাস তৃপ্তি করে পানি পান করে আরেক গ্লাস তৃপ্তিময় পানির অপেক্ষায় থাকি। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আমরা সবাই কোন না কোনও বাসনায় আটকে আছি। অধিকাংশ মানুষ জান্নাত বা স্বর্গ নামক স্থানের লোভে বাসনায় নিমজ্জিত। অথচ এমন মানুষ নিজেকে প্রকৃত ধার্মিক মনে করে ; যা নিতান্তই ভুল। এই সবই বাসনার অন্তর্ভূক্ত। আমরা যতদিন প্রকৃত বাকাবিল্লাহতে না পৌঁছব ততদিন আমাদের আসা যাওয়া চলবে।বিখ্যাত সাধক "বায়েজীদ বোস্তামী একবার বাকাবিল্লাহ এর দরজায় পৌঁছলেন, দরজা খোলা দেখে আনন্দে তিনি আত্মহারা, পরক্ষনেই বাকার দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। বায়েজীদ জিজ্ঞাসা করলেন, হে প্রভূ আমার কি অপরাধ? দরজা কেন বন্ধ হল? গায়েবী আওয়াজ এলো এলহামের মাধ্যমে, কারন হলো জাগতিক শরীরের সাথে তার হাতে একটি লোটাও ছিল। এই লোটা সারাবছর বায়েজীদের সাথে থাকতো, তা দ্বারা ওযু করতেন, পানি পান করতেন। অথচ দরজা বন্ধ করে দেয়া হল।
সাধরণ একটি লোটা নিয়ে যখন দরজা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে একটু ভাবুনতো আমার ভেতরে বাহিরে এমন কত কিছু খেলা করছে। নিজেরে সমস্ত লোটা বাটি নামক সামগ্রিক বস্তু হতে মুক্ত হতে হবে। তবেই না বাকাবিল্লাহ্। অযাচিত অসংখ্য আবোল তাবোল ঘটনা প্রতিবার জনমে ঘটিয়ে এখন বাকার খাতায় নাম দিতে চাই আমরা। কখনও সম্ভব নয়, কর্ম ফল ভুগতেই হবে কম অথবা বেশী তার আগে মুক্তি নেই।
কেউ কেউ ভন্ডামী শুরু করেছে ৪০ দিনে ২৩ দিনে মুক্তি করে দিতে পারবে। নিতান্তই এসব ভন্ডামীর কথাবার্তা। আপনি ছাড়া আপনার ফল আর কেউ ভোগ করবেনা।
অতএব আসতেই হবে কর্ম অনুযায়ী । বাঁকাবিল্লাহতে যেতে সমস্ত বিষয় রাশি হতে মুক্ত হতে হবে। সমস্ত বিষয়রাশি হতে মুক্ত হলে পরে আপনার কর্মফল ভুগা শেষ হলেই পরে আপনি সে পথে যাত্রা শুরু হবে।
মহান আল্লাহপাক আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবাদতের উদ্দেশ্যে, আর আমরা এবাদত রে বানিয়ে ফেলেছি চুরি। যেখানে ২৪ ঘন্টা সালাত আদায় করতে হবে, সেখানে কি করছি একটু ভাবুন.....৷
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাঁর নিকট থেকে নিজের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত হওয়ার জন্য ভজন বিষয়ে যা কিছু শিক্ষা করা যায় তিনিই গুরু। "গুরু গোবিন্দ দোউ খড়ে,কিনকে লাগুঁ পায়, বলিহারী গুরুদেব কী,গোবিন্দ দিয়ো বাতায়।। বিখ্যাত এ দোহাটি দিয়ে শুরু করলাম আমার গুরুশিষ্য লেখাটির প্রথম পর্ব। গুরুর চমৎকারিত্ব তখনই, যখন তিনি গোবিন্দকে পরিচিত করিয়েছেন,তাঁকে সামনে এনে দ...
Comments
Post a Comment