এক ব্যাক্তি পারিবারিক কাজকর্ম ও ঝামেলায় অতীষ্ট হয়ে ঘর বাড়ি ত্যাগ করার ইচ্ছে করল। বেচারী স্ত্রীকে ত্যাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। এবং কোন এক ফকীরের সান্নিধ্য গ্রহণ করলো। ছেড়া কাপড় পরে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা শুরু করল। ভিক্ষা করতে করতে সে বস্তিতে আসলো যেখানে তার স্ত্রী থাকতো। সে অভ্যাস মত ভিক্ষা চাওয়া শুরু করল 'মাগো ভিক্ষুককে কিছু সাহায্য করুন '।উনার স্ত্রী আওয়াজ শুনে চিনে ফেলল যে এটাতো উনার স্বামী। যাক কিছু আটা দান করল এবং স্ত্রী বলল তোমার আমার সম্পর্ক যদিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তুবুও আপনি বললে রুটি বানিয়ে দিতে পারি।সে বলল খুব ভাল কথা। এই বলে কাঁধের ঝুলি থেকে লবন,মরিচ,আটা, মশলা এবং কিছু লাকড়ীও বের করে দিল। এসব দেখে মহিলাটি জোড়ে একটি চড় মারলো এবং বলল-কমবখত সারা দুনিয়া বগলের নীচে নিয়া ঘুরতেছো আর আমি অভাগিনী কে ত্যাগ করে দুনিয়াত্যাগী হয়েছ। (মুখযেনে আখলাক :৪১৫ পৃষ্ঠা) শিক্ষা :- স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি, ধন-দৌলত ইত্যাদির মালিক হওয়াটা দুনিয়াদারি নয় বরং ইত্যাদির কারনে আল্লাহকে ভুলে যাওয়াটাই দুনিয়াদারি। যে ব্যাক্তি লাখ টাকার মালিক হয়েও প্রভুকে ভুলেনা সে দুনিয়াদার নয় বরং যে ব্যাক্তি ভিক্ষুক...